মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ১১:০৬ অপরাহ্ন
নতুন এই জোটের আহ্বায়ক বাংলাদেশ কংগ্রেস ও জাতীয় জোটের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট কাজী রেজাউল হোসেন এবং সদস্য সচিব জাতীয় ইসলামী জোট ও জাতীয় ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান আবু নাছের ওয়াহেদ ফারুক।
শনিবার (১১ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই জোটের আত্মপ্রকাশ হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন আহ্বায়ক কাজী রেজাউল হোসেন।
স্বাধীন জোটের চেয়ারম্যান ও সম্মিলিত মহাজোটের যুগ্ম আহ্বায়ক মীর্জা আজমের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন মহাজোটের যুগ্ম আহ্বায়ক সম্মিলিত জাতীয় জোটের চেয়ারম্যান আবু আহাদ আল মামুন (দীপু মীর), গণতান্ত্রিক জোট বাংলাদেশের চেয়ারম্যান এস এম আশিক বিল্লাহ, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের চেয়ারম্যান ফয়েজ হোসেন, পলিটিক্যাল পার্লামেন্টের অ্যালায়েন্সের চেয়ারম্যান প্রিন্সিপাল এম আর করিম এবং বাংলাদেশ জাতীয় ইসলামী জোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ডা. গোলাম মোর্শেদ হাওলাদার, জাতীয় জোটের মুখপাত্র অ্যাডভোকেট মো. ইয়ারুল ইসলাম প্রমুখ।
সম্মিলিত মহাজোটের আটটি জোটে নামসর্বস্ব ৯৩টি রাজনৈতিক দল রয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ কংগ্রেস ছাড়া আর কোনো দলের নিবন্ধন নেই।
সংবাদ সম্মেলনে আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে নির্বাচন কমিশনের নিকট পাঁচ দফা প্রস্তাব তুলে ধরেন তারা। এগুলো হলো- অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টিতে জনগণের মতামতকে গুরুত্ব দিতে হবে। যেকোনো নির্বাচন পর্যবেক্ষণে নিবন্ধিত দেশি ও বিদেশি পর্যবেক্ষণ সংস্থা এবং গণমাধ্যমকর্মীদের অবাধ গমনাগমন নিশ্চিত করা। নির্বাচনকালীন প্রার্থীদের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা প্রদানের বিশেষ ব্যবস্থা করা। ডিসিদের পরিবর্তে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ করা এবং সব ভোট কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা। নির্বাচনকালীন রাজনৈতিক দল নির্বাচনকেন্দ্রে প্রভাব খাটালে, কোন দলের এজেন্টকে বের করে দিলে, কোন বিশেষ প্রতীকে ভোট দিতে বাধ্য করলে বা বুথের ভেতর অবাধ চলাচল করলে তাৎক্ষণিক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
জোটের আহ্বায়ক রেজাউল হোসেন বলেন, ‘স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ধর্মীয় মূল্যবোধের ভিত্তিতে অসাম্প্রদায়িক মানবিক বাংলাদেশ গড়ায় প্রত্যয়ে একটি কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনের নিমিত্তে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সমুন্নত রেখে মানুষের মৌলিক এবং মানবাধিকার অধিকার বাস্তবায়ন, সুশাসন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সামাজিক মুক্তি এবং মানুষের কাঙ্ক্ষিত চেতনায় উন্নয়নের ধারা প্রবর্তন করে বাংলাদেশে বাস্তবমুখী রাজনৈতিক দর্শন প্রয়োগের মধ্য দিয়ে বৃহত্তর রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে জাতীয় নির্বাচনসহ সব পর্যায়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে সরকার গঠন করে একটি আধুনিক রাষ্ট্র গড়ে তোলাই হবে এই মহাজোটের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে আমরা অংশ নিব। সংঘাত সংহিসতা পরিহার করে সুষ্ঠু পরিবেশ রাজনীতি করতে আমরা বদ্ধপরিকর। দেশ ও জনগণের স্বার্থে এবং জাতীয় সংকট নিরসনে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দিবে মহাজোট। কংগ্রেস প্রতীক ডাব মার্কা নিয়েই অংশ নেবে।’
জোটের সদস্য সচিব ওয়াহেদ ফারুক বলেন, ‘বড় বড় দল ও জোট ছোট দলগুলোকে মূল্যায়ন করতে চায় না। এ জন্য ছোট দলগুলোর একত্রিত করে সম্মিলিত মহাজোট গঠন করেছি। জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে সম্মিলিত মহাজোট।’
All rights reserved © 2020-2023 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।